আরও দেখুন
অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে—বিশেষ করে বিশ্ব অর্থনীতির পশ্চিমা দেশগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম রয়েছে: মুদ্রাস্ফীতি 2%-এর লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রাখতে হবে, বিশেষ করে ভোক্তা মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে। এটি শুধুমাত্র একটি লক্ষ্যমাত্রা নয় বরং একটি অটল নীতি। প্রতিটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক—হোক সেটা ফেডারেল রিজার্ভ, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা অস্ট্রেলিয়ান রিজার্ভ ব্যাংক—এই নীতির অনুসারী বলে ধারণা করা হয়।
বিংশ শতাব্দীর শেষ প্রান্তিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি বর্তমান মানদণ্ডে বিস্ময়কর উচ্চতায় পৌঁছেছিল—১৪%-এরও বেশি, ১৯৮০ সালে সর্বোচ্চ ছিল ১৪.৮%। সে সময়ে আমেরিকা আয় অনুযায়ী ব্যয় করত, এবং ফেড তখনো বৈশ্বিক ডলার ছাপার কেন্দ্রস্থল হয়ে ওঠেনি। অর্থনীতি ছিল মূলত শিল্পনির্ভর এবং মাঝেমধ্যেই তা সংকটে পড়ত। তবে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের অধীনে বৃহৎ 'রিগানোমিকস' প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র "ঋণের মাধ্যমে জীবনযাপন করার" মডেলে প্রবেশ করে—যেকোনো আমেরিকান যার আয় আছে, সে জীবনের পুরো সময় ধরে ধাপে ধাপে নয়, বরং ঋণ নিয়ে একসঙ্গে সবকিছু কিনতে পারত। তখনই 2% মূল্যস্ফীতির ধারণা জন্ম নেয়। কেন ভোক্তা মূল্যস্ফীতি এই লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রাখতে হবে? কারণ যুক্তরাষ্ট্র শিল্প-ভিত্তিক অর্থনীতি থেকে পরবর্তী ধাপে রূপান্তরিত হয়, উৎপাদনের দায়িত্ব বিশ্বের উপর ছেড়ে দিয়ে নিজেরা কেবল ডলার ছাপাতে থাকে। যদিও এটি একটি সহজ ব্যাখ্যা, কিন্তু বাস্তবতা থেকে খুব একটা ভিন্ন নয়।
তবে ঠিক 2% কেন? ফেড ট্রেজারি বন্ড বিক্রির মাধ্যমে বিশ্বকে ঋণ দিত এবং এই ইন্সট্রুমেন্টগুলোর উপর সুদের হার কম রাখতে খুবই আগ্রহী ছিল, যাতে মার্কিন আর্থিক ব্যবস্থা উচ্চ সুদের খরচে বিপর্যস্ত না হয়। ট্রাম্প এই মডেল সংস্কার ও যুক্তরাষ্ট্রকে পুনরায় শিল্পমুখী করার চেষ্টা করলেও, এই অর্থনৈতিক কাঠামো এখনো বহাল আছে।
এখন প্রশ্ন হলো: জাপানের ব্যতিক্রম ছাড়া পশ্চিমা কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো এখনো কেন এই মডেল অনুসরণ করছে? শুধু এই কারণে নয় যে তারা ডলারভিত্তিক ঋণের মধ্যে আবদ্ধ—যেটি আসলে কেবল ফেড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আস্থার উপর নির্ভর করে। বরং পশ্চিমা দেশগুলো সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হারের উপর নির্ভরশীল—আরো স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রানীতির উপর। এর মধ্যে পড়ে ইসিবি, ব্যাংক অব কানাডা ইত্যাদি। ইউরোজোন ও যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হারের মধ্যে নির্দিষ্ট অনুপাতিক সম্পর্ক রয়েছে, যা ট্রেড ব্যালেন্স এবং কারেন্ট অ্যাকাউন্টের উপর ভিত্তি করে স্থাপিত। মাঝে মাঝে মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কা এই ভারসাম্য নষ্ট করলেও পরে তা পুনরুদ্ধার হয়।
বর্তমানে, ফেড সুদের হার আরও কমাবে কি না তা নিয়ে ভাবছে। ইতোমধ্যে ইসিবি এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার হ্রাসে বিরতি দিয়েছে, যদিও মুদ্রাস্ফীতি 2% লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি রয়েছে। তারা ফেডের গতিবিধি দেখে মনে হচ্ছে তারা ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছে।
বৈশ্বিক কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো কি সুদের হার কমাবে?
হ্যাঁ, তবে শুধুমাত্র তারা যারা ফেডের সঙ্গে সুদের হারের ভারসাম্য না হারিয়ে তা করতে পারবে, যেমন রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়া ও রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউজিল্যান্ড। অন্যরা কেবল তখনই অনুসরণ করবে, যখন যুক্তরাষ্ট্র আবার সুদের হার কমানোর প্রক্রিয়া শুরু করবে। এর মানে হলো, মার্কিন ডলার প্রধান মুদ্রাগুলোর বিপরীতে চাপের মধ্যে থাকবে—শুধু প্রত্যাশিত সুদের হার কমানোর কারণে নয়, বরং বর্তমান সুদের হারের অনুপাতিক কাঠামোও ডলারের পক্ষে কাজ করছে না। এই পটভূমিতে, আমরা মার্কিন ডলার সূচকের 98.00 স্তরের দিকে নামার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।
বিটকয়েন
ডলারের দরপতনের প্রেক্ষাপটে বিটকয়েনের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শক্তিশালী হয়েছে। এটির মূল্য 105,200.00 এর রেজিস্ট্যান্স লেভেল ব্রেক করেছে এবং সাম্প্রতিক উচ্চতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে—সম্ভবত সেখানে পৌঁছাবে। যদি এটির মূল্য 107,513.65-এর লেভেল ব্রেক করে উপরের দিকে যায় এবং অবস্থান ধরে রাখতে পারে, তাহলে বিটকয়েনের মূল্য 109,730.25-এ পৌঁছাতে পারে। সম্ভাব্য বাই এন্ট্রি লেভেল হিসেবে 107,873.92-এর লেভেল বিবেচনা করা যেতে পারে।
USD/JPY
এই পেয়ার বর্তমানে 144.00 লেভেলের নিচে ট্রেড করছে। স্বল্পমেয়াদী ঊর্ধ্বমুখী রিট্রেসমেন্টের পর আবার এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে এবং ডলারের দুর্বলতার পটভূমিতে মূল্য 142.35-এ নেমে যেতে পারে। সম্ভাব্য সেল এন্ট্রি হতে পারে 143.80 এর লেভেল।
You have already liked this post today
*এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ আপনার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রদান করা হয়, ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রদান করা হয় না।
মার্চ ও এপ্রিলের প্রায় ধ্বংসাত্মক দরপতনের পর, মে মাসে প্রধান মার্কিন স্টক সূচকগুলো পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করে ক্ষতি পুষিয়ে নিয়েছে। ট্রেডারদের মধ্যে এই আত্মবিশ্বাস বাড়ছে যে এই পুনরুদ্ধার হয়তো বিনিয়োগকারীদের উচ্চাকাঙ্ক্ষার
বুধবার খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। অবশ্যই উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হিসেবে জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পরিষেবা খাতের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচক প্রকাশিত হবে। তবে আমরা আপনাদের মনে
আজ ব্যাংক অব জাপানের গভর্নর কাজুয়ো উয়েদা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে পরবর্তী অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারী বন্ড ক্রয়ের গতি আরও মন্থর করতে পারে—যেহেতু বোর্ড বন্ড ক্রয় কর্মসূচি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে
যদিও বর্তমানে মার্কেটে সহজলভ্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রতি বড় কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না—বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে—এবং এখন ট্রেডাররা ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপের দিকেই বেশি মনোযোগ কেন্দ্রীভূত
মঙ্গলবার শুধুমাত্র দুটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদিও প্রথম প্রতিবেদনটি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হতে পারে এবং দ্বিতীয়টি সরাসরি মার্কিন শ্রমবাজারের সঙ্গে সম্পর্কিত, আমাদের বিশ্বাস, এগুলোর কোনোটিই মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া
মে মাসজুড়ে বিশ্বের বিভিন্ন মার্কেটে ভিন্নভাবে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি অনুভূত হয়েছে, তবে স্টক মার্কেট মূলত লাভবান হয়েছে, যেখানে এপ্রিলের শেষদিক থেকে মোমেন্টাম অর্জন করে মে মাসেও প্রবৃদ্ধি চলমান ছিল—যদিও ডলার বা
সোমবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে, তবে এর মধ্যে কেবল একটি প্রতিবেদনই প্রকৃত অর্থে গুরুত্বপূর্ণ—তা হলো মার্কিন ISM ম্যানুফ্যাকচারিং PMI। মনে রাখা উচিত, যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসায়িক কার্যক্রম
এ সপ্তাহের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে ভরপুর রয়েছে। প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডারদের জন্য ঐতিহ্যগতভাবে সবচেয়ে বেশি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়ে থাকে, এবং জুনও এর ব্যতিক্রম হবে না। ক্যালেন্ডারে
Graphical patterns
indicator.
Notices things
you never will!
Forex Chart
Web-version
Your IP address shows that you are currently located in the USA. If you are a resident of the United States, you are prohibited from using the services of InstaFintech Group including online trading, online transfers, deposit/withdrawal of funds, etc.
If you think you are seeing this message by mistake and your location is not the US, kindly proceed to the website. Otherwise, you must leave the website in order to comply with government restrictions.
Why does your IP address show your location as the USA?
Please confirm whether you are a US resident or not by clicking the relevant button below. If you choose the wrong option, being a US resident, you will not be able to open an account with InstaTrade anyway.
We are sorry for any inconvenience caused by this message.