আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচে নামতে শুরু করে তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1646 লেভেলে পৌঁছায়, যা ইউরো বিক্রির জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য প্রায় ৩০ পিপসের মতো হ্রাস পায়।
গতকাল মার্কিন ডলারের দর ইউরোর বিপরীতে অল্প সময়ের জন্য কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছিল, তবে সেটি মার্কেটে টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটাবে পারেনি। আজ শুরু হওয়া ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের পূর্বে মার্কেটে কেউই এখন গুরুত্বসহকারে ট্রেডিং করছে বলে মনে হচ্ছে না। এই বৈঠকের ফলাফল আগামীকাল সন্ধ্যায় প্রকাশিত হবে। যদি অতিরিক্তভাবে মুদ্রানীতি নমনীয়করণের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তবে তা মার্কিন ডলারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাই এই মুহূর্তে মার্কেটে বড় পরিসরে ক্রয় বা ট্রেডিংভিত্তিক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে না।
আজ দিনের প্রথমার্ধে জার্মানির ট্রেড ব্যালেন্স বা বাণিজ্যের পরিমাণ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। এর কিছু সময় পরেই বুন্দেসব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জোয়াকিম নাগেল বক্তব্য দেবেন। জার্মানির ট্রেড ব্যালেন্স সম্পর্কিত প্রতিবেদন ঐতিহ্যগতভাবে বিনিয়োগকারী এবং বিশ্লেষকদের মনোযোগ আকর্ষণ করে, কারণ এটি ইউরোজোনের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানির অর্থনৈতিক অবস্থা এবং সমগ্র ইউরোপীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এই দেশের অবদানকে প্রতিফলিত করে। ধারণা করা হচ্ছে ট্রেড ব্যালেন্স ইতিবাচক থাকবে, তবে যদি কোনো সংকোচনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তবে তা বৈশ্বিক চাহিদার নিম্নগতি এবং জার্মানির রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতির ওপর ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে।
জোয়াকিল নাগেলের বক্তব্যকেও বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বুন্দেসব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী কর্তাব্যক্তি। মুদ্রাস্ফীতি, মুদ্রানীতি এবং ইউরোজোনের সামগ্রিক আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে তার পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণ ট্রেডারদের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা 1 ও পরিকল্পনা 2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব।
পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1680-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1653-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করতে পারেন। মূল্য 1.1680-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে মূল্য পরপর দুইবার 1.1640-এর লেভেলে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আমি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1653 এবং 1.1680-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1640-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করার করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1614-এর লেভেল যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে আজ এই পেয়ারের উপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে মূল্য পরপর দুইবার 1.1653-এর লেভেলে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আমি আজ ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1640 এবং 1.1614-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।